জুমার নামাজের নিয়ত
জুমার নামাজ ইসলামের অন্যতম একটি নামাজ। جُمُعَة (জুমুআহ) শব্দটি আরবী । এর অর্থ একত্রিত বা কাতারবদ্ধ হওয়া । জুমার দিন যোহরের নামাযের পরিবর্তে দুই রাকাআত জুমআর নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানদের উপর ফরজ অন্য নামাজ যারা পড়েন না তারাও জুমার নামাজ আদায় করেন। কিন্তু অনেকেই জানেন না কতো রাকাত জুমার নামাজ পড়তে হয়। আজ জুমার নামাজের নিয়ত সহ সব বিষয়গুলো জেনে নিন।
জুমার দিন যে ব্যক্তি গোসল করে প্রথমদিকে পায়ে হেঁটে মসজিদে যায় (কোনো কিছুতে আরোহণ করে নয়), ইমামের খুব কাছাকাছি গিয়ে বসে, মনোযোগ দিয়ে খুৎবা শোনে, কোনো কিছু নিয়ে খেল তামাশা করে না, সেই ব্যক্তির প্রতিটি পদক্ষেপের জন্য রয়েছে বছরব্যাপী রোজা পালন এবং সারা বছর রাত জেগে ইবাদত করার সমতুল্য সওয়াব পাওয়া যায়!
জুম্মার নামাজের সময় জুমার দিন যোহরের নামাযের পরিবর্তে দুই রাকাআত জুমআর নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানদের উপর ফরজ। এর ওয়াক্ত যোহরের ওয়াক্তের সময়। জুম্মার দিন দুপুরে গোসল করে পরিষ্কার পোষাক পরিধান করে আযানের সঙ্গে সঙ্গে মসজিদে উপস্থিত হয়ে জুম্মার নামাজ আদায় করা উত্তম।
কতো রাকাত জুম্মার নামাজ পড়তে হয়৪ রাকাত কাবলাল জুমআ,তারপর খুতবা পাঠের পর ২ রাকাত ফরজ নামাজ তারপর চার রাকাত বা’দাল জুমআ আদায় করতে হয়। তবে সময় থাকলে জুম্মার দিন তাহিয়্যাতুল অজু ২ রাকাত সুন্নত, দুখলুল মসজিদ ২ রাকাত সুন্নত, ২ রাকাত সুন্নতুল ওয়াক্ত ও নফল নামাজ আদায় করা উত্তম। তবে ওই নামাজগুলো জুমাআর নামাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়।
জুমার নামাজের রাকাতের সংখ্যা
চাররাকাত কাবলাল জুময়’আ
দুই রাকাত ফরজ
চার রাকাত বা’দাল জুম’আ
আরও পড়ুন- জুমার নামাজ না পড়ার ভয়াবহ শাস্তি
জুমার নামাজের নিয়ত
চার রাকাত কাবলাল জুম’আ
বাংলা উচ্চারণঃ নাওয়াইতু আন উছাল্লিয়া লিল্লাহি তায়ালা আরবায়া রাকাআতি ছালাতি কাব্লাল জুমুয়াতি, সুন্নাতি রাসূলিল্লাহি তয়ালা মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল্ কা’বাতিশ্ শারীফাতি আল্লাহু আক্বার।
অর্থঃ আমি কেবলামুখী হয়ে আল্লাহ্র ওয়াস্তে চার রাকায়াত কাবলাল জুমা’ সুনাতে মুয়াক্কাদা নামাজের নিয়ত করলাম। আল্লাহু আকবর।
জুমার দুই রাকাত ফরজ নামাযের নিয়ত
বাংলা উচ্চারণ: নাওয়াইতু আন্ উসকিতা আন্ জিম্মাতী ফারদুজ্জহ্রি, বি-আদায়ি রাকয়াতাই ছালাতিল্ জুমুয়াতি, ফারজুল্লাহি তায়ালা মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল্ কা’বাতিশ্ শারীফাতি আল্লাহু আক্বার।
অর্থঃ আমার উপর জুহরের ফরজ নামায আদায়ের যে দায়িত্ব রয়েছে, আমি কেবলামুখী হয়ে, জুমা’র দুই রাকায়াত ফরজ নামায আদায়ের মাধ্যমে তা পালনের নিয়ত করলাম। আল্লাহু আকবর।
চার রাকাত বা’দাল জুম’আ
বাংলা উচ্চারণঃ নাওয়াইতু আন উছাল্লিয়া লিল্লাহি তায়ালা আরবায়া রাকাআতি ছালাতি বা’দাল জুমুয়াতি, সুন্নাতি রাসূলিল্লাহি তয়ালা মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল্ কা’বাতিশ্ শারীফাতি আল্লাহু আক্বার।
অর্থঃ আমি কেবলামুখী হয়ে আল্লাহ্র ওয়াস্তে চার রাকায়াত বা’দাল জুমা’র সুন্নাতে মুয়াক্কাদা নামাজের নিয়ত করলাম। আল্লাহু আকবর।