বর্তমানে বাজারে প্রসেসর, র্যাম এবং ডিসপ্লের উন্নত থেকে উন্নততর প্রযুক্তির এই প্রতিযোগিতার সাথে সাথে যোগ হয়েছে অত্যাধুনিক ক্যামেরার প্রতিযোগিতা। প্রযুক্তিবিদদের কাছে ছবির গুণগত মানের বেলায় 4k প্রযুক্তি প্রযুক্তি প্লাজমা টিভিকে পেছনে ফেলে ‘সবচেয়ে আকর্ষণীয়’ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। 4k প্রযুক্তি অন্য যেকোনো প্রযুক্তির চেয়ে গুণগত মান বজায় রাখে বলে মনে করা হয়। যদিও ছোট স্ক্রিনে ফোর-কে এবং এইচডি ভিডিওর মধ্যে তুলনা করলে পার্থক্যটা খুব কমই বোঝা যায়।
ক্যামেরার ক্ষেত্রে ফোর-কে অন্য যেকোনো প্রযুক্তির চেয়ে বেশি উন্নত বলে মনে করা হয়। ছবির মানের গুরুত্বের বেলায় ফোর-কে টিভির পর্দাকে পেছনে ফেলে ‘সবচেয়ে আকর্ষণীয়’ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে প্রযুক্তিবিদদের কাছে। ফোর-কে এবং এইচডি ভিডিওর ক্ষেত্রে ছোট আকারের পর্দায় এদের পার্থক্য খুব একটা বোঝা যায় না। ছোট পর্দার থেকে বড় আকারের পর্দায় ফোর-কের গুরুত্ব বেশি প্রকাশ পায়। 4K রেজোল্যুশন জানার আগে আমরা রেজোল্যুশন সম্পর্কে একটু ধারণা পেয়ে নিই।
রেজোল্যুশন কি?
রেজোল্যুশনের সংজ্ঞা হিসাবে বলতে গেলে কোন ইলেকট্রনিক যন্ত্রে যে স্ক্রীন, মনিটর অথবা পর্দা দেওয়া থাকে, সেখানে প্রতি ইঞ্চিতে যে পরিমান পিক্সেল বা বিন্দু থাকে, তাকেই মূলত রেজোল্যুশন বলা হয়ে থাকে। কোন প্রিন্টার যদি ৭২০ ডি.পি.আই (dpi – dot’s per inch) তে ছবি প্রিন্ট করার ক্ষমতা রাখে, তার মানে ওই প্রিন্টারটির প্রতি এক ইঞ্চিতে ৭২০টি পিক্সেল বসানোর সক্ষমতা আছে। আমাদের ফোনের ডিসপ্লে সাধারনত অনেক ছোট ছোট চতুর্ভুজ আকৃতির উপাদান দিয়ে তৈরী, যাকে আমরা পিক্সেল বলে থাকি। 4K এর রেজ্যুলেশন যা হয়, তা হলো ৩৮৪০ x ২১৬০! যেহেতু এটি ৪০০০ পিক্সেলের কাছাকাছি, তাই একে 4K বলা হয়ে থাকে এবং এর ডান পাশ থেকে বাম পাশে গুনলে পিক্সেলের সংখ্যা দাঁড়াবে ৪০০০। সুতরাং বুজতেই পারছেন ১০৮০ পিক্সেলের ডিসপ্লের চেয়ে এটি কত বেশি তথ্য একসাথে দেখাতে পারে। একটি 4K স্ক্রিন এর সাইজ কমপক্ষে ৪০০০ x ২০০০ হয়ে থাকে।
4K কন্টেন্ট কি ?
চারটি মোবাইল সাইজ স্ক্রীনকে যদি একত্রে যুক্ত করা হয়, তাহলে সেটি একটি ফোর-কে ডিসপ্লে হবে। এখন আপনি যদি ফোর-কে টিভিতে ১০৮০ পিক্সেলের ভিডিও চালান তাহলে সেটা ১০৮০ তেই চলবে, ফোর-কে তে চলবে না। 4K টিভিতে যতক্ষণ পর্যন্ত না আপনি ফোর-কে কন্টেন্ট বা ভিডিও না দেবেন ততক্ষন পর্যন্ত আপনি ফোর-কে মিডিয়া দেখতে পারবেন না। এজন্য অনেক কোম্পানী, তাদের 4K টিভিতে UHD upscaling নামক একটি ফিচার যুক্ত করে থাকে, যেটা কিনা একটি ১০৮০ বা ১৪৪০ পিক্সেলের ডিটেইলকে দ্বিগুণ করে ফেলে। মানে এই টিভিতে ১০৮০ পিক্সেলের কোনও ভিডিও চালালে তা এক পিক্সেলকে দ্বিগুণ করে ফেলবে। অর্থাৎ, Upscaling করার পর সবশেষে যে ভিডিওটি পেয়ে থাকি, তা 2K অথবা 4K হয়ে থাকে, যা আগের তুলনায় দেখতে অনেকটাই ভাল হবে।
স্মার্টফোনে 4K রেকর্ডিং এবং 4K ডিসপ্লে:- এখনকার প্রতিটি স্মার্টফোনে 4K রেকর্ডিং এর সুযোগ পাওয়া যায়। একটি মোবাইলে 4K রেকর্ড করতে হলে কমপক্ষে সেই মোবাইলে ১২ মেগাপিক্সেল লেন্স থাকতে হবে। ২০১৫ সালে সোনি প্রথম কোন 4K ডিসপ্লের ফোন লঞ্চ করে, যেটা ছিল Sony Xperia Z5 Premium। এটি বের হওয়ার অনেক আগে থেকেই মোবাইল ফোনগুলো 4K রেকর্ড করতে পারত, কিন্তূ মোবাইল ফোনগুলিতে 4K সাপোর্ট করত না।
4K প্রযুক্তিঃ- 4K প্রযুক্তি মোটেও নতুন নয়, এটি অনেক আগে থেকেই ছিল। ২০১০ সাল থেকে ইউটিউব প্রথম 4K ভিডিও সাপোর্ট করা শুরু করে। 4K এর চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলছে। দিনে দিনে সবকিছুর রেজ্যুলেশনও বেড়ে চলেছে।